বংশগত কারণে হৃদরোগের সমস্যা অনেক মানুষকেই বয়ে বেড়াতে হয়। জেনেটিক কারণে একটি পরিবারের যখন হৃদরোগের ঝুঁকি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তখন নিরাপদ থাকার উপায় আছে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল সার্কুলেশনের এক গবেষণায় বলা হয়, মুষ্ঠিকে দৃঢ়করণ, শারীরিক পরিশ্রম এবং উন্নত কার্ডিও ও রেসপাইরেটরি ফিটনেস মানুষকে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিস স্কুল অব মেডিসিন এর মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর এবং প্রধান গবেষক এরিক ইনগেলসন বলেন, এখানে আসল বিষয়টা হলো, শারীরিক শ্রম আসলে মানুষকে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে পারে।
গবেষণায় উপসংহার টানতে বিশেষজ্ঞরা ব্রিটেনের বায়োব্যাংক ডেটাবেজ থেকে ৫ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এ গবেষণায় বেশ কিছু মানুষ অংশ নেন। এরা সবাই বংশগতভাবে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। দেখা গেছে, কাজ বা ব্যায়াম করে যারা বজ্রমুষ্ঠির অধিকারী হয়েছেন তাদের করোনারি হার্ট ডিজিসের ঝুঁকি ৩৬ শতাংশ কম। পাশাপাশি অ্যাটরিয়াল ফিব্রিলেশনের ঝুঁকিও তাদের ৪৬ শতাংশ কমে আসে। অন্যদিকে, দুর্বলদের ঝুঁকি অনেকটা বেশি।
গবেষক বলেন, আসলে আমাদের গবেষণার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্ত থাকতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যায়াম বা কায়িকশ্রমের কথা বলা হচ্ছে না। তবে এর মাধ্যমে যে সংশ্লিষ্ট রোগ থেকে দূরে থাকা যায় তা নিশ্চিত বোঝা গেছে।