সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয় পরাজয়কে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপি। দলটির মূল লক্ষ্য অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় নির্বাচন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। জয়ী হলে জনমতের প্রতিফল হয়েছে আর পরাজিত হলে সরকারকে চাপে রেখে জাতীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া কথা ভাবা হচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইস্যুতে শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কিছু বলা হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি নির্বাচন জয়ী হলে জনমতের প্রতিফল হয়েছে আর পরাজিত হলে সরকারকে চাপে রেখে জাতীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া কথা ভাবছে বিএনপি।
সূত্র আরও জানায়, আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে ৩০ জুলাই অন্য তিন সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।
বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকার মরিয়া থাকবে। আর তাতে করে আমাদের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জোরালো হবে। দেশে বিদেশে এ দাবির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি। বাকি সিটিগুলোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। সেটা নির্ভর করবে গাজীপুর নির্বাচনের ওপর।
এছাড়া দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মামলার আইনি দিকের পাশপাশি জনমত গড়ে তোলার বিষয়েও বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।