বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আগমণে প্রস্তুত এখন মাওয়া। চারদিকে সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় এখন পদ্মা তীরের মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমণে উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ।
পদ্মা সেতুর সব কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানতে শুক্রবার বিকেলে মাওয়ায় এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য মাওয়ায় চলছে নানা প্রস্তুতি।
আজ থেকে ২৩ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেখানেই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ঘোষনা করবেন তিনি। এখন দিনরাত পদ্মার বুক চিরে চলছে ট্রেন ও যানবহন । যে স্বপ্ন ধারণ করে গড়ে উঠেছিল পদ্মা সেতু, সেই স্বপ্নের বাস্তবতা এখন প্রচন্ডভাবে দৃশ্যমান আজ পদ্মার বুকে। সেতুর দুই তীরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র, শিল্প স্থাপন এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, বাঙালির সক্ষমতার স্মারক পদ্মা বহুমুখী সেতু। সেতুর সড়ক ও রেল পথের সুফল ছাড়াও হাইভোল্টের লাইনে রামপাল ও পায়রার বিদ্যুৎ আসছে রাজধানী ঢাকায়। মিলছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং ফোন সুবিধাও। নদী শাসনে বন্ধ এখন পদ্মার ভাঙ্গন। দ্যুতি ছড়াচ্ছে সেতুর ৫টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। আর সেতু জুড়ে ৭৬০ মিলিমিটার ব্যসের গ্যাস লাইনও প্রস্তুত। সব কাজই সম্পন্ন এখন। তাই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপনী টানতে শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করেছে। তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, তারা এখন দেশে চলে যাবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জবাসীকে অনেক দিয়েছেন, আরো দিতে চেযেছেন। মুন্সীগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের পদ্মা সেতু দিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জে রেল চলবে, এটা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। এখন আমাদের সব স্বপ্ন সত্য হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো.আবু জাফর রিপন বলেছেন, এই সমাবেশে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদসহ দেড় হাজার সুধী অংশ গ্রহন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। জোরদার করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা।