সিলেট প্রতিনিধি:
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের ৭১ সে.মি. সিলেট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৮ সে.মি.উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সে.মি, এ নদীর শেওলা পয়েন্টে ৪৭ সে. মি.ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০৩ সে. মি.ও শেরপুর পয়েন্টে ১৫ সে.মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার (৩জুলাই) বিকালে সুরমা ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৮১ সে.মি.যাহা এর ২৪ ঘন্টা আগে ছিলো ১১৭ সে.মি উপরে, একই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদ সীমায় ০১ সে. মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগেরদিন বিপদসীমার নীচে ছিলো। কুশিয়ারা নদীর পানি আজ আমলশীদ পয়েন্টে ১৪০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা ২৪ ঘন্টা আগে একই পয়েন্টে ৭৭ সে.মি ছিলো। এ নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৪৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাতহিত হচ্ছে। আগের দিন ২৩ সে. মি. উপরে ছিলো। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে,যা আগের দিন ছিল ৯৫ সে.মি.উপরে । কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, আগেরদিন এ পয়েন্টে পানি ১৪ সে.মি উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
এছাড়াও সিলেটের লোভাছড়া, সারি নদী, জাফলং নদী, গোয়াইন নদী ও ধলাই নদীর সবগুলো পয়েন্টের পানি গত ২৪ ঘন্টায় কিছুটা কমে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল কিছুটা কমেছে বলে স্হানীয় বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে দিনের বেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। গত ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকলেও কমেনি নদ নদীর পানি। নদীর পানি না কমায় সিলেটবাসীর মধ্যে বন্যার শঙ্কা কাটছে না।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৬টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মজেয় দত্ত জানান বন্যার্ত মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সিলেট জেলায় ১২৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে বন্যার্ত মানুষকে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পানি বিশোদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগের প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্যার্ত মানুষের জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ গুরত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।