ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে যাত্রীছাউনী, বিশ্রামাগার, বৈদ্যুতিক ফ্যান ও টয়লেট না থাকায় ঢাকা থেকে উত্তর-ও পশ্চিমাপঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী তেরোটি আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আগত-বহিরাগত যাত্রীদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্লাটফরম নীচু হওয়া,বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ও দ্বিতীয় লাইনে প্লাটফরম না থাকায় প্রতিদিন যাত্রীদের বেশী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আবার দুই নম্বর লাইনে নতুন প্লাটফরম তৈরী না করা এবং স্টেশনের সাথে সংযুক্ত এ্যাপ্রোস রাস্তাটি মেরামত না করাতেও ভুক্তভোগী যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ করে রাতের বেলায় অনেক যাত্রীদের ভীত অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। তাই ঈশ্বরদীর এই জনগুরুত্বপূর্ণ বাইপস স্টেশনের সকল প্রকার সমস্যার সমাধান করে খুব শীঘ্রই যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে ট্রেন ভ্রমনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি উঠেছে। বাইপাস স্টেশনের হতাশাগ্রস্ত স্টেশন মাস্টার, বুকিং মাস্টারসহ অন্যান্য স্টাফ ও ভুক্তভোগী যাত্রীদের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসবতথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ১৩ টি আন্ত:নগর এক্সপ্রেসট্রেনসহ ১৭/১৮টির মত বিভিন্ন প্রকার ট্রেন চলাচল করছে। এতে প্রতিদিন প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে। শুধুমাত্র যাত্রীছাউনী, বিশ্রামাগার, বৈদ্যুতিক ফ্যান, টয়লেট না থাকা, হাজার হাজার যাত্রীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। হতাশার মধ্যেই কষ্ট শিকার করে রেল স্টাফদেরও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
বুকিং কাউন্টার সংলগ্ন একটি ছোট টয়লেট থাকলেওমদূর্গন্ধে বুকিং মাস্টার ও টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের অসহনীয় কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। একইভাবে বুকিং অফিস ছোট হওয়ায় প্রচন্ড গরমে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও যাত্রী ছাউনী না থাকায় বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভিজতে হয় এবং রোদে গরমে পুড়তে হয়। বিশ্রামাগার না থাকায় যাত্রীদের বিভিন্ন দোকানে, গাছতলায় বা রোদে বসে ও দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় অনেক যাত্রীদের ভীত অবস্থায় চলাচল করতে হয়। সব সমস্যা সমাধানের জন্য দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংশ্লীষ্টট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় স্টেশন ও বুকিং মাস্টারসহ অন্যান্য স্টাফরা হতাশার মধ্যেই কষ্ট শিকার করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী স্টেশনের গুরুত্ব, যাত্রীদের চাহিদা ও রেলওয়ের রাজস্ব আয় ঠিক রাখতে খুব শীঘ্রই যাত্রীছাউনী নির্মাণসহ সকল প্রকার সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ব্রীজ লিয়াকত শরীফ সাংবাদিকদের জানান,পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তনের কারণে ঈশ্বরদীর মূল স্টেশনটি কিছুটা
ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বেশকিছু আন্ত:নগর ট্রেন চলাচলের কারণে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনটির গুরুত্ব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কারণে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। তেকরে স্টেশনে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। তাই যাত্রীদের সকল প্রকার সুবিধা নিশ্চিত কল্পে কম সময়ের মধ্যেই সকল প্রকার সমস্যার সমাধান করে একটা সুন্দর পরিবেশ নিশিচত করা হবে। চলাচলের এ্যাপ্রোস রাস্তাটিও সংস্কার করা হবে।