রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ঘটনার পর তাকে দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরু। তারা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার মিঠাপুকুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন হামলার শিকার নুরুজ্জামান লিটন। তিনি ছড়ান গ্রামের মনিরুজ্জামান দুলা মাস্টারের ছেলে ও বড়বালা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছড়ান বন্দর থেকে গত সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধায় ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন লিটন। এ সময় স্থানীয় খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে আলামিন, জাকির, জাহাঙ্গীর, রাফি ও লাভলু রড-লাঠিসোঁটা নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, হামলাকারীরা বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম স্বপনের অনুসারী। কিছুদিন আগে ছড়ান বন্দরে মরা গরু জবাই করে বিক্রির চেষ্টার সময় আওয়ামী লীগ লিটন বাধা দেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুজ্জামান লিটন বলেন, পূর্বের শত্রুতার জেরে চেয়ারম্যান আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর জেরে তাঁর লোকজন আমার ওপর হামলা করে।
বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম সরকার স্বপন বলেন, ছড়ান বাজারে আমাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন লিটন। এসময় আমার শুভাকাঙ্খীদের সাথে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তা প্রেরক