সুনামগঞ্জ জেলার খনিজ বালু-পাথর সমৃদ্ধ উপজেলা তাহিরপুরে সীমান্ত নদীতে (জাদুকাটা-১, জাদুকাটা-২) বালুমহালে ইজারাদার সিন্ডিকেট, পরিবেশ ধ্বংসী শতাধিক ড্রেজার মেশিনের দ্বারা বালু-পাথর উত্তোলনে এবং জাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর পিলারে নিচ থেকে বালু উত্তোলনকারীদের সাথে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএও) যোগসাজশ, অবৈধ ড্রেজারে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে ভুক্তভোগীরা সরাসরি কিংবা মুঠোফোনে দাবি জানালেও ইউএনও উদাসীনতা প্রকাশ করা সহ আরও নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ২৫ই জুন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে জাদুকাটা নদীতে ড্রেজার মেশিন জব্দ ও মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেন।
এরকম নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় অবশেষে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভিনকে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখার যুগ্ম সচিব ড. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে জনস্বার্থে তাকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। ১০িই জলাই, ২০২৪ ইং তারিখ বুধবার রাতে মন্ত্রণালয় সূত্র ও ইউএনও সালমা পারভীন গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৩৩তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সালমা পারভীন ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাহিরপুরের ইউএনও হিসাবে যোগ দেন। এর আগে তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও হিসাবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তাকে তাহিরপুরে বদলি করা হয়েছিল। সেখানেও একইভাবে বিতর্কে জড়ান তিনি। যে কারণে সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার আগেই বদলি করা হলো তাকে।