কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুন, গুম ও গণহত্যা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ ও দেশের বিভিন্ন আদালতে মামালা দায়ের শুরু হয়। ঢাকায় আরও তিনটি হত্যা মামলা সহ এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ৯৯টি মামলা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় প্রথম হত্যা মামলা হয় গত ১৩ আগস্ট। এরপর এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মোট ৯৯টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। হত্যা মামলাগুলোর মধ্যে ১৩ আগস্ট একটি, ১৪ আগস্ট একটি, ১৫ আগস্ট তিনটি, ১৬ আগস্ট ঢাকা ও বগুড়ায় পৃথক দুটি, ১৭ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি, ১৮ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আটটি, ১৯ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি, ২০ আগস্ট ঢাকা, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জে ১০টি, ২১ আগস্ট ঢাকায় পাঁচটিসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ফতুল্লা, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামে ১০টি, ২২ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১০টি, ২৩ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে ১৪টি এবং ২৫ আগস্ট বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাসহ দুটি ছাড়াও রাজধানীতে আরও ৯টি সহ মোট ৯৯টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এসব মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ ছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।