ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে ভোগরা বাইপাস এলাকায় বাসচাপায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ও ক্ষুব্ধ পোষাক শ্রমিকরা তিনটি বলাকা সিটি সার্ভিস বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সটকে পড়েন ঘাতক বলাকা (ঢাকা মেট্রো ব – ১৫-৪৩৫৫) বাসের চালক। পরে আরও দু’টি বাসে আগুন দিলে উভয় চালকরাও সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলের নিকট অস্থায়ী ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন ওই যুবক, দূরপাল্লার বাস থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী বলাকা পরিবহনের সিটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এসময় আশপাশের কারখানার শ্রমিক ও উত্তেজিত জনতা বলাকা পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহত যুবক হলেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার টুনকি বাজার কুনিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও হালিমা দম্পতির ছেলে হালিম মিয়া (৩৫)। সে গাজীপুরের গাছা মেট্রো থানার শরিফপুর আনু মার্কেট এলাকার আসমা আক্তারের টিনশেড ভাড়া বাসায় অস্থায়ী বসবাস করতেন। জানা যায় নিহত হালিম স্থানীয় লুইটেক্স কারখানার একজন শ্রমীক ছিলেন।
অপর দু’টি বাসের চালক জানান জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশি সেবা মেলেনি। এছারা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে কল করেও সারা মেলেনি।
এ বিষয়ে ভোগড়া ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আশিস মুঠোফোনে বলেন, স্থানীয় ক্ষুব্ধ লোকজন তিনটি বাসে আগুন দিয়েছেন। একটি বাস পুরোপুরি পুড়ে গেছে। অন্য দুটিতে আগুন জ্বলা অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস দল সেখানে পৌঁছানোর সময় পুলিশি সহায়তা চেয়ে কোন সহায়তা পাননি। ওই সময় আগুন নিভাতে ফায়ারসার্ভিস এর কয়েকটি ইউনিট এগীয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতার মারমূখি আচরণে সেখান থেকে ফিরে যায় ফায়ারকর্মীরা।
বাসন থানা পুলিশের এস আই রাশেদ মুঠোফোনে বলেন নিহতের লাশ পরিবার নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুরের বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী বলেন, বাসের চাপায় এক যুবক ঘটনানস্থলে মারা গেছেন। তাঁকে স্থানীয় লোকজন তাজউদ্দীন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা বলাকা পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এলেও তারা জনতার ভয়ে আগুন না নিভিয়েই ফিরে যায়। এ ঘটনায় বলাকা পরিবহনের তিনটি বাসই পুড়ে গেছে।