আজ
|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্যের মামলায় অস্বস্তি কেজরির
প্রকাশের তারিখঃ ২১ অক্টোবর, ২০২৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন ঘিরে অস্বস্তি কাটছে না আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। দেশটির শীর্ষ আদালত সোমবার তার আরজি খারিজ করে দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, কেজরির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল গুজরাটের এক বিশ্ববিদ্যালয়। ওই মামলায় যাতে তাকে তলব না করা হয়, সেই আরজি নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন আপপ্রধান। শীর্ষ আদালতও সোমবার তা খারিজ করে দেন।
এই একই বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে অপর এক আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধেও। তিনিও এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত ৮ এপ্রিল সঞ্জয়ের আরজিও খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। সেই যুক্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও এস ভি এন ভাট্টির বেঞ্চ কেজরির আরজিও খারিজ করে দিয়েছেন।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে্ন, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। কেজরির আইনজীবী ওই মানহানি মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন আদালতে। মামলাটি দায়ের করেছিলেন গুজরাটের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কেজরির মন্তব্যে মোদির নাম সরাসরি কোথাও উল্লেখ নেই বলে জানান আইনজীবী। যদিও কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘এই ধরনের মানহানিকর মন্তব্য করা এবং পরে ক্ষমা চাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তার।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করতে চান না। আদালত শুধু এই আরজিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, ‘সব ক্ষেত্রেই একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এর আগে কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার রুপি জরিমানা করেছিলেন গুজরাট হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির কপি প্রকাশ করতে বাধ্য নয় তার দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল দিল্লি ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির প্রতিলিপি চেয়েও না পেয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, গুজরাট ও দিল্লির দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য তলব করেছিল। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ওই সব তথ্য প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করে গুজরাটের ওই বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর কেজরি ও সঞ্জয় এক সংবাদ সম্মেলনে ডিগ্রিসংক্রান্ত বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। ওই মন্তব্যের পর, আপের দুই নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
Copyright © 2024 bpnews24. All rights reserved.