দৈনিক বাংলার আলো গত ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে “বিএনপি ও আওয়ামী যুবলীগের নেতা আপন ২ ভাই, জিম্মি এলাকাবাসী” মিথ্যা ও অসত্য এবং মনগড়া তথ্য দিয়ে এবং কাল্পনিক বাক্য দিয়ে একটি সংবাদ ছাপা হয়। উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির গাছা থানা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
প্রতিবাদে আসাদ বলেন, আমাদের পরিবারকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কে বা কাহারা আমার পরিবার ও জাতীয়তাবাদী আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, কাল্পনিক বাক্য সম্বিলিত (অভিযোগুলো) কিছু বাক্য উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
আমি ও আমাদের পরিবারের সবাই মনে করছি, এই সংবাদের কারনে আমার এবং আমাদের পরিবারের মান, সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে এবং আমি সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ঝুকি তৈরি হয়েছে।
প্রতিবাদে আসাদ বলেন, আামি গাছা এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি। আমার বাবা গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। উনার অনেক সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে। বাবার সুনাম নষ্ট হবে এমন কোন কাজ আমি বা আমার পরিবারের কেউ করছে তার কোন স্বাক্ষ্য প্রমাণ কেউ কোন দিন দিতে পারবে না।
“গাজীপুরে একই পরিবারের সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বিএনপির গাছা থানা শাখার সাবেক সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ আরেক ভাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের গাছা থানার সভাপতি প্রার্থী এবং ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল” এর প্রতিবাদে আসাদ আরো বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই জাতীয়তবাদ ও শহিদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলাম এখনো আছি।
গাছা থানার ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে ১৯৯৩ থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার আমাকে ১২ টি মামলা দিয়েছে। বহুবার দীর্ঘদিন জেল খেটেছি। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের বাক স্বাধীনতা, যার যে দল ইচ্ছা সে সেই দল করবে। রাজনৈতিক মাঠে আমাকে হয়তো কেউ প্রতিপক্ষ ভাবে। তাই আমাকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন থেকে সড়িয়ে মাঠে বিশেষ ফায়দা হাসিল করার জন্য কেউ হয়েতো এই সংবাদটি করিয়েছন।
সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট হিসে্বে দাবি করে আসাদ বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আমি ও আমার পরিবারের নামে যতগুলো মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে সে গুলো কখন, কোথায়, কার সাথে ঘটেছে কিছুই উল্লেখ করেনি।
সাধারণ মানুষ, মিল-ফ্যাক্টরী এত অত্যাচার নির্যাতনের স্বীকার হলো অথচ এক জনের নাম ঠিকানা, সুনির্দিষ্ট ঘটনার বিবরণ উল্লেখ নাই। অথচ আমি বিএনপি করার কারনে স্বৈরাচার সরকার আমলে অনেক মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি, দীর্ঘদিন পরিবার ছাড়া থাকতে হয়েছে, দেশে একটি ছাত্র-জনতার গণ বিপ্লব সংঘটিত, অভ্যূত্থানের পর তারণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে এমন কোন কাজ করা আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করিনা এবং উক্ত অভিযোগ গুলো সংঘটিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করার আগে মিডিয়াকে সত্যতা অনুসন্ধান সহ যাচাই বাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন।