ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের মোকারম ভবনে লিফটে উঠতে গিয়ে সাততলা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্নক লিফট দুর্ঘটনার শিকার হন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাগর। তিনি চারুকলা অনুষদের ডিন অফিসের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (হিসাব) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকাল পোনে এগারটার দিকে এ দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাগরকে দেখতে যান।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাগর গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন পূর্ব কলমেশ্বর এলাকায় স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেখান থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতেন। সেখানে বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ্ এস্টেটের মোতওয়াল্লী ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও গাজীপুরে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে এবং কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। উক্ত কমিটির বাইরে আরো একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চারুকলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আলম ফারুক জানান, শুক্রবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ছাত্রছাত্রীদের সিট পড়েছিল মোকারম ভবনে। সেখানে কাজে গিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। ওই ভবনের লিফট অনেক পুরোনো, যা হাত দিয়ে টেনে খুলতে হয়। তিনি সাত তলায় লিফটের দরজা হাত দিয়ে টেনে খুলে ভেতরে ঢোকেন, কিন্তু সে সময় লিফটের ফ্লোর না আসায় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আব্দুল্লাহ সাত তলায় ছিলেন। লিফট আসার আগেই দরজা খুলে ঢুকে পড়ায় নিচে পড়ে যান। ঢাকার শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাগরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।