খুলনা জেলা বিএনপি নেতাদের ভিতর অপরাজনীতিতে রয়েছে শেখ আবু হোসেন বাবুর নাম। তার নামে বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ নানান ধরনের নিরব সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির পরিচালার অভিযোগ।
সূত্রমতে এলাকাবাসী ও কিছু সংখ্যক বিএনপির নেতা কর্মীদের নাম না প্রকাশে জানায় ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় এক নেতার হাত ধরে খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পেয়ে যান খুব সহজে। দলিও ক্ষমতার দাপটে হয়ে ওঠে উশৃংখল গড়ে তোলে অপ রাধনীতির রাম রাজত্ব। খুলনা জেলা ছাত্রদলের একক মহানায়ক হয়ে ওঠেন এই বাবু।
বাবুর উগ্রপন্থী রাজনীতির হাত থেকে রেহাই পায়নি নিজের নেতা কর্মীরা এবং তার নিজ এলাকার আইজগাতি গ্রামের হিন্দু পরিবার। এলাকায় সিংহী বাড়ির সিধু বাবু নামে এক হিন্দু ভদ্রলোক এর লিচু গাছ কেটে নিয়ে বিক্রয় করে ও তাদের জমি দখল করায় অভিযোগ ওঠে শুধু তাই নয় তার আপন ফুফাতো ভাই আরিফ বাদলদের কাঠ মিলে জায়গা দখল নিয়ে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায় বহিষ্কৃত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুলনা জেলা শাখার সভাপতির পদ থেকে।
শুধু তাই নয় তার উৎসৃংখল ও বদ মেজাজের হাত থেকে রেহাই পাইনি খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা। তার সাথে মনের মিল না হলে যে কোন সময় ছাত্রদলের যে কোন নিচু পদস্থ নেতাদেরকে বহিষ্কার করতেন। এই বাবু তার নিজ রাজনৈতির স্বার্থ রক্ষা করতে যে কোন সময় কোন এক বড় নেতার সাথে রাজনৈতিক সখ্যতা তৈরি করে অন্য সিনিয়র নেতাকে অপমান করতে দ্বিধাবোধ করিনি কখনো। এমন নজিরবিহীন বহু ঘটনা রয়েছে তার রাজনৈতিক জীবনে। রুপসা উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান খুলনা জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী।
এখানেও শুরু করে দেয় বাবু অপরাজনীতি ও গ্রুপিং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার হাতে হাত মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচন করেন । উক্ত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ফেল করিয়ে এখানে বড় আকারের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আওয়ামী লীগ থেকে এই বাবু। যে কারণে বিএনপি ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাবুকে বিএনপি থেকে আবার বহিষ্কার করা হয়।
তার অপরাজনীতি গ্রুপিং শুরু করে প্রতিটি সিনিয়র নেতাদের সাথে। এলাকায় গড়ে তোলে তার নিজস্ব দলীয় বাহিনী। দেশের অবস্থা যখন ভয়াবহ আওয়ামী সরকারের তাণ্ডব লীলায় শিকার না হয়ে ভদ্রলোক চলে যান তাবলীগ জামাতে কিছুদিন নীল সাগর নামে একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে চাকরিও করেন ঢাকাতে।
৫ ই আগস্ট ২০২৪ স্বৈরা শাসক শেখ হাসিনার পালিয়ে যাবার পর বাবু বাহিনী নতুন করে সোচ্চার হয় শুরু করে দেয় বিএনপি ভেতরে নতুন করে গ্রুপ ও এলাকায় ক্ষমতার দাপট এবং শেনের বাজার নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সেল্টার দেওয়া।
৫ তারিখের পর যখন সারাদেশে আওয়ামী লীগ এর সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয় সেখানে খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ বাবুর বাল্যবন্ধু হওয়ার কারণে পলাশের বাড়ি ও অন্যান্য সকল সম্পত্তি নিয়ে যায় নিজের দায়িত্বে । যে সকল সম্পত্তি পাহারা দিচ্ছে তার তৈরি করা বাহিনী।
৫ তারিখের পর সেনের বাজার সাতটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা দখল করে নেয় বাবু বাহিনী উক্ত সাতটি নৌকা ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় সেনের বাজার ঘাটে নতুন এক কান্ড। প্রকাশ্যে মারামারি হয় খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন এর সাথে। তুহিনের কয়েকজন লোক হসপিটালে পর্যন্ত ভর্তি থাকে। এভাবেই নিরাব চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছে এই বাবুর বাহিনী। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ জনগণ বলেন শুধু ক্ষমতার পালাবদল বদলেছে কিন্তু দখলবাজি বদলায়নি।
[forminator_poll id=”2490″]