গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, নগদ টাকা, মাদক কারবারের সাথে জড়িত ও পতিতা বৃত্তি করার অপরাধে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া অভিযানে বস্তির কয়েকটি ঘর থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র, নগদ ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় অন্তত ৭৫ জনকে আটক।করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ছাড়াও র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান হয়েছে। যেখানে প্রায় ৫৫০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অংশ নিয়েছে।
অপরদিকে টঙ্গীর ‘জাভান’ হোটেলে রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল দশটা পর্যন্ত চলা যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন রাজধানী উত্তরা দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্নেল মো. তাহসিন। হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৪৯৪ ক্যান বিয়ার,৫৯৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ সময় পতিতা বৃত্তির অপরাধে ২৭ জন নারী, হোটেলটিতে আসা ৩২ জন পুরুষ ও হোটেল পরিচালনায় নিয়োজিত ১৮ জনসহ ৮৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পালাতে গিয়ে মিল্টন (৫০) নামে জাবান হোটেলের একজন কর্মচারী ৫ তালার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিহত হন।
লে. কর্নেল মো. তাহসিন তাৎক্ষণিক তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, টঙ্গীর আমতলী এলাকায় ‘জাভান’ হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগ ছিলো। আজ অভিযান চালিয়ে বিয়ার ও মদ জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পতিতা বৃত্তি অপরাধে নারী-পুরুষ ও হোটেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ বলেন, যৌথ বাহিনীর জাভান হোটেলে অভিযানের সময় ভয়ে পালাতে গিয়ে পাঁচ তালা থেকে লাফ দিয়ে একজন নিহত হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল মাস্টার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।