সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আশরাফুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠছে। নাম প্রকাশে না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, খেশরা ভূমি অফিসের বর্তমান নায়েব আশরাফুজ্জামান যোগদানের পর থেকে, প্রতিটি নাম জারির রিপোর্ট প্রদানের জন্য ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করেন। অনলাইনে খাজনা দেওয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছে এই নায়েব।
খাজনার টাকা নেওয়ার পরে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে চেক দাখিলা দেন। তখন খাজনার চেক দাখিলায় টাকার পরিমাণ দুই থেকে চার শত টাকা উল্লেখ থাকে। অথচ একটি চেক দাখিলার জন্য নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা, বাকি টাকা বিষয়ে বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা ফেরত দেয় না।এই আশরাফুজ্জামান নায়েব কাওকে তোয়াক্কা করে না আদালতের তদন্ত প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে, দুই পক্ষের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহন করেন। যারা পরিমানের বেশি দেন, তাদের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া এলাকার মাকসুদা খানম জানান, মিউটেশন করতে,খেশরা ভূমি অফিসে তার জমির সব কাগজ নিয়ে নায়েবকে দেখায়। তিনি বলেন মিউটেশন করতে গেলে ১২ হাজার টাকা লাগবে তানা হলে হবে না তখন বাধ্য হয়ে ১২ হাজার টাকা নায়েব আশরাফুজ্জামানের হাতে দেন তিনি। কিন্তু তার মিউটেশন টি এখনো আমাকে দেয়নি। আমি দিনের পর দিন অফিসে যাচ্ছি আমাকে ঘুরাচ্ছে।
একই এলাকার নূর আলী সরদার বলেন, আমার জমির খাজনা অনলাইনে আসে ৪০১ টাকা। কিন্তু নায়েব আমার কাছে চেয়েছে ৪ হাজার টাকা। ৪ হাজার টাকা না পাইলে তিনি খাজনার চেক কেটে দিবেনা। তিনিও বাধ্য হয়ে নায়েব এর ভাগনা সুরুজ এর কাছে ৪ হাজার টাকা দেন।
ভূমি অফিসে তার মনোনীত পোষ্য দালাল ছাড়া তিনি কোনো কাজ করেন না বলে জানান এসব ভুক্তভোগীরা।
সরোজমিনে খেশরা ইউনিয়নের ভূমি অফিসে সাংবাদিকদের দেখে নায়েব আশরাফুলজ্জামান ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তখন বলেন, আমার একটা তদন্ত আছে সেখানে যেতে হবে বলে তিনি চলে যান। অফিসের সেবা গ্রহণ করতে আসা কয়েকজন বলেন, আজকে আর কোন কাজ মিটবে না আমরা দিনের পর দিন হেঁটে হেঁটে আর পারছিনা না।
এবিষয়ে পাটকেলঘাটাস্থ তালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন জানান, নায়েব আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।