শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের খুতবার বয়ানে আল্লামা আব্দুল আউয়াল তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কাউকে খুশি করা বা কাউকে বিরক্ত করার উদ্দেশ্যে তিনি কথা বলেন না। তিনি নিজের নীতিতে অটল এবং কোরআন–হাদিসের আলোকে যে বিষয়কে অন্যায় মনে করেন, তা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বিএনপি, আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কোনো দলকেই ছাড় দেন না। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি তার বক্তব্য শুনে বাহবা দিতে চায়, তাতে খুশি হওয়ার কিছু নেই, কারণ জনগণকে তুষ্ট করার জন্য তিনি মিম্বরে বসেননি।
আল্লামা আব্দুল আউয়াল বলেন, ভোট কোথায় এবং কোন বাক্সে দেওয়া হবে তা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। তিনি ‘আট দল’ শব্দটি ব্যবহার করায় কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, তার প্রশ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বর্তমানে যে আট দল একমঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। তিনি এসব বিষয় দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, দেশ শাসনে শরীয়াহর পূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার জনসমক্ষে দিতে হবে। দলগুলো যদি এই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তবে জনগণ যেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনে। অপরাধের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি ও ব্যভিচারের মতো অপরাধে প্রকাশ্যে শরীয়তসম্মত শাস্তির বিধান চালু করতে হবে।
এছাড়া তিনি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সুদ প্রথা বাতিল করে ইসলামী ব্যাংকিং চালুর দাবি জানান। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সব দপ্তরে ঘুষের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান প্রণয়নের আহ্বান জানান।




















