স্টাফ রিপোর্টারঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগ নেতা এস. এম মোমেনকে মহানগর তাঁতীদলের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করায় সমালোচনার পাশাপাশি কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করেছে।
এদিকে তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান এস.এম মোমেন কে বহিষ্কার করতে মহানগরের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা দিলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত সেটা কার্যকর করেনি মহানগরের নেতৃবৃন্দরা।
যদিও এস.এম মোমেন তাঁতীদলের কমিটিতে কিভাবে স্থান পেয়েছে বিষয়টি জানেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মহানগরের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন ও সদস্য সচিব নবী নূর। এরপরও এস.এস মোমেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এই দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনার পরেও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগের ওই নেতাকে তাঁতীদলের পদ থেকে কেন বহিষ্কার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন আমাদেরকে মজিবর সাহেব বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার সদস্য সচিব বিষয়টা ভাল বলতে পারবেন কেন এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে কোন অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আমার জায়গা পরিষ্কার করে বলতে পারি আমি কোন অর্থনৈতিক লেনদেনে জড়িত নই। যদি কখনো এমন হয় তাহলে আমি নিজে রাজনীতি থেকে সরে যাবো। তবে এসব বিষয় আমার সদস্য সচিব ভাল বলতে পারবেন।
মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব নবী নূর জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর সাহেব বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির নির্দেশনা ছাড়া জিনিসটা সুন্দরা হয়না। বুধবার উনি আসবেন উনি আসলে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান জানান, আমি মহানগরের নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনা দিয়েছি, কিন্তু ওরা আজকে আমার কাছে এসেছিলো কিছু লোকাল পত্রিকা নিয়ে। মোমেন নাকি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনের নিউজ দেখাতে। আমি সেগুলো দেখিনি, তাদের বলে দিয়েছি আমি এসব দেখবো না তোমরা ব্যবস্থা নাও।


















