নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনের জোট প্রার্থীর নামও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় তার উপস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণাকালে বিএনপি মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও জোটের ঐক্য বজায় রাখতেই এই কঠোর অবস্থান বলে জানান তিনি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে ইতোমধ্যে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন নিয়ে ছিল নানা আলোচনা ও গুঞ্জন। অবশেষে জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আসনে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর নাম ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোট প্রার্থী হিসেবে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো দলীয়ভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কঠোর হুঁশিয়ারিকে এই গুঞ্জনের প্রেক্ষাপটেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই অবস্থানের ফলে নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা আরও জোরদার হবে।
















