নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগ নেতা এস. এম মোমেন এর বহিষ্কারা ঠেকাতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে তার ছোট ভাই বন্দর থানা তাঁতীদলের সদস্য সচিব আল আমিন।
এছাড়াও মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব নবী নূর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মোমেনের একটি সংবাদ সম্মেলনের প্রকাশিত সংবাদের কপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিয়ে তাকে বাচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনের প্রকাশিত সংবাদ দেখিয়ে মোমেনের বহিষ্কার ঠেকানোর চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।
একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, মোমেন যেহেতু নারায়ণগঞ্জের এর তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানও নারায়ণগঞ্জের তাই মোমেনের বিষয়ে নেওয়ার পুরো দায়িত্ব মজিবুর রহমানের উপর ন্যাস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তার নির্দেশনার পরেও মোমেনকে বহিষ্কার করতে বিলম্ব করছেন মহানগরের সদস্য সচিব নবী নূর। তার দাবি শুধু সাধারণ সম্পাদকের কথায় হবেনা, সভাপতির থাকলেও ভাল হবে আর বুধবার তিনি নারায়ণগঞ্জে আসবেন সেদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবো আমরা।
এদিকে মোমেনের আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন বিএনপি নেতাদের দিয়ে লোবিং করিয়ে যাচ্ছেন তার ছোট ভাই আল আমিন।
তবে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আল আমিন নিজের ভাইয়ের পক্ষে শক্ত কোন যুক্তি দেখাতে পারেনি। বার বার তিনি অতীতে মোমেন এর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়টি টেনে আনেন। কিন্তু মামলা থাকার পরও মোমেন কিভাবে প্রকাশ্যে ছিল, গ্রেপ্তার হয়নি, ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন এসব প্রশ্নের কোন সদোত্তর তিনি দিতে পারেনি।
এদিকে তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান এস.এম মোমেন কে বহিষ্কার করতে মহানগরের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা দিলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত সেটা কার্যকর করেনি মহানগরের নেতৃবৃন্দরা।
যদিও এস.এম মোমেন তাঁতীদলের কমিটিতে কিভাবে স্থান পেয়েছে বিষয়টি জানেন না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মহানগরের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন ও সদস্য সচিব নবী নূর। এরপরও এস.এস মোমেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এই দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনার পরেও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগের ওই নেতাকে তাঁতীদলের পদ থেকে কেন বহিষ্কার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মকবুল হোসেন আমাদেরকে মজিবর সাহেব বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার সদস্য সচিব বিষয়টা ভাল বলতে পারবেন কেন এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে কোন অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আমার জায়গা পরিষ্কার করে বলতে পারি আমি কোন অর্থনৈতিক লেনদেনে জড়িত নই। যদি কখনো এমন হয় তাহলে আমি নিজে রাজনীতি থেকে সরে যাবো। তবে এসব বিষয় আমার সদস্য সচিব ভাল বলতে পারবেন।
মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব নবী নূর জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর সাহেব বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির নির্দেশনা ছাড়া জিনিসটা সুন্দরা হয়না। বুধবার উনি আসবেন উনি আসলে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ মজিবর রহমান জানান, আমি মহানগরের নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনা দিয়েছি, কিন্তু ওরা আজকে আমার কাছে এসেছিলো কিছু লোকাল পত্রিকা নিয়ে। মোমেন নাকি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনের নিউজ দেখাতে। আমি সেগুলো দেখিনি, তাদের বলে দিয়েছি আমি এসব দেখবো না তোমরা ব্যবস্থা নাও।



















