নারায়ণগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তার অফিসে অভিযান চালিয়েছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তবে অভিযানের সময় তাকে তার বাসা কিংবা অফিস—কোথাও পাওয়া যায়নি।
এর আগে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী নিজের ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, সেলিম ওসমান নিয়মিত অফিস ও ব্যবসা পরিচালনা করছেন, বিষয়টি প্রশাসনের জানা থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি দাবি করেন, বিএনপির এক সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে তিনি রয়েছেন, যা নারায়ণগঞ্জে ‘ওপেন সিক্রেট’। পোস্টে আরও বলা হয়, ওই প্রার্থীর পক্ষে একটি গোষ্ঠী প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে এবং পুরো একটি টিম মিলে তার রাজনৈতিক প্রচারণার কৌশল ঠিক করছে। এমনকি এতে কিছু সাংবাদিক ও কোর্টপাড়ার প্রভাবশালী আইনজীবীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও তোলা হয়।
শওকত আলীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারেক মেহেদী বলেন, “সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছি। ওই অভিযোগের পরও আমরা অভিযানে গিয়েছি, তবে এখন পর্যন্ত তার বক্তব্যের সত্যতা পাইনি। তবুও তাকে ধরতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
এর আগে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু একাধিকবার সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হওয়া মশাল মিছিলের অর্থায়ন সেলিম ওসমান ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে করা হচ্ছে।
এসপি ও ডিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের অর্থদাতারা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তারা নিয়মিত অফিস করছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ধারী কিছু ব্যক্তি সেলিম ওসমানের সঙ্গে যোগসাজশে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে অর্থ ও উসকানি দিচ্ছে।”



















