নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আমি বিএনপির প্রার্থী, জমিয়ত ইসলামের প্রার্থী,বিএনপি আমাকে মনোনিত করেছে।এখানে ধানের শীষ-খেজুর গাছ একাকার। এখানে খেজুর গাছের মধ্যে ধানের শীষ কে খুজে নিতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি এলাকায় থানা বিএনপি অঙ্গ দলের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা জমিয়ত ইসলামের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে কাসেমী আরো বলেন, আপনারা ও আমি একই আদর্শের সৈনিক। আমি ইসলামের আদর্শেমবুশ্বাসী, আল্লাহর উপর বিশ্বাসী।বিএনপিও একইনধারায় বিশ্বাসী।যার কারনে আলেম ওলামারা বিএনপির সাথে জোট করেছে। আমরা বিএনপির সাথে একাকার হয়ে আছি। আমি এখানে তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও কেন্দ্রের নির্দেশে এখানে আসছি। তাই আমি বিশ্বাস করি আপনারা ১২ তারিখে খেজুর গাছ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন। এখানে ভিন্ন কিছু ভাবার সুযোগ নেই। নেতা কর্মীদের দাবীর মুখে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বহিষ্কারদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখানে আজকের নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতি বলে দেয় তিনি কতোটা জনপ্রিয়। আমি তার জন্য কেন্দ্রে আলোচনা করবো।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, তিনি দলের দুঃসময়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন করেছিলেন এবং নানা ভয় ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। এবারো তিনি বিএনপি জোট থেকে নির্বাচন করছেন। মুনিরমহোসেন কাশেমী মানেই ধানের শীষ, মনির হোসেন কাশেমী মানেই খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মনোনীত প্রার্থী। হাসিনা সরকারের পতন হলেও এখনো পূর্ন স্বাধীন আসেনি।তাই আগামী নির্বাচনে মনির হোসেন কাশেমীকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনিমআরো বলেন দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ১৭ বছরে আন্দোলনে রাজপথে তেকে লড়াই করেছেন এখনো দলের বাইরে যাওয়া যাবেনা। মুফতি মনির হোসেন কাশেমীই বিএনপির প্রার্থী
যদি দলের বাইরেমগিয়ে কেউ কিছু করতে চায় তাহলে দল থেকে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন।
মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, অনেকেই বলছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। ভুল করবেন না। মনির হোসাইন কাসেমীকে ছোট খেলোয়াড় ভাববেন না। তিনি ২০১৮ সালে যেভাবে মনোনয়ন এনেছিলেন, এবারও সেভাবেই এনেছেন। বিএনপি তাকে মূল্যায়ন করেছে। তার প্রতীক কি- সেটা নিয়ে ভাবার সময় নেই।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি সুমন আকবর,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক
জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলে যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন,
ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক জুয়েল আরমান,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের তাতি দলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক মিলন ঢালী,
ফতুল্লা থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোসলেম উদ্দিন মুসা,সদস্য সচিব সুমন, যুগ্ম আহবায়ক এস এম ইব্রাহিম,থানা থানা তাতি দলের সদস্য সচিব ইমন সহ ফতুল্লা থানা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিএনপি এবং অঙ্গ- সংগঠন নেতা কর্মীরা।


















