নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু অভিযোগ করে বলেছেন, গডফাদারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া চিহ্নিত দালালদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সাহস থাকার কথা নয়। তাঁর দাবি, একটি শ্রেণির গণমাধ্যমের অতিরিক্ত কাভারেজের কারণেই তারা এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু বলেন, গডফাদারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “গত কয়েক দিনে গডফাদার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে কয়টি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে? নারায়ণগঞ্জের কথিত বড় চাঁদাবাজদের কর্মকাণ্ড কেন তুলে ধরা হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, কিছু গণমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে এসব বিষয়ে নীরব থেকেছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যেসব ব্যক্তি গডফাদারের সহযোগী হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি, তাদেরই এখন গণমাধ্যমে বড় করে তুলে ধরা হচ্ছে। এমনকি পোস্টার ও প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপির সকল নেতাকর্মী তাদের পক্ষে আছে—এমন বিভ্রান্তিকর বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রসঙ্গ টেনে টিপু বলেন, সেখানে গডফাদারদের ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যক্তিকেও একইভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে সৎ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। “সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে। আমরা অতীতেও গণমাধ্যমের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। তবে ভবিষ্যতে যদি পক্ষপাতমূলক অবস্থান দেখা যায়, তাহলে আমি নিজে প্রতিবাদ করবো,”—বলেন তিনি।
টিপু আরও অভিযোগ করেন, এখনও অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদের সঙ্গে গডফাদারদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জের নানা ঘটনা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, সাংবাদিকরা যদি ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসরদের থেকে দূরে না থাকেন, তবে ভবিষ্যতে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।



















